সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
মোঃ আজম বাদশা সাবু জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চেয়ারম্যান আব্দুর রউফসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল/২৪) দুপুরে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে ঘন্টাব্যপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জেলার সাংবাদিকরা।
এ সময় জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলা ভিশনের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি নুর আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি মর্নিং গ্লোরীর জেলা প্রতিনিধি আবু হাসান, জেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি স্বপ্না আক্তার সর্নালী শাহ, সিনিয়র সহ- সভাপতি আব্দুর রশিদ, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক ওয়াজেদুর রহামন কনক, সৈয়দপুর উপজেলা সদস্য সচিব ওয়ালিউর রহমান রতন, নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম,ডিমলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক দৈনিক বাংলার ডিমলা প্রতিনিধি মহিনুল ইসলাম সুজন, নিউ ন্যাশন এর জলঢাকা প্রতিনিধি শাহজাহান কবির লেলিন,ও দৈনিক খোলা কাগজের জলঢাকা প্রতিনিধি আবেদ আলী,রংপুর সংবাদের আঞ্চলিক প্রতিনিধি আজম বাদশা সাবু নীলফামারী জেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমিন ইসলাম,
কিশোরগঞ্জ উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান, কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে এম শাকীরসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ভিজিএফ এর চাল বিতরনে অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক নুরল আমিন, দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মোঃ হারুন উর রশিদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা এবং আজকের দেশকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরীসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যার। পরদিন সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
চেয়ারম্যান নিজের অপকর্মকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তার একদিন পরে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ওই চার জনসহ আন্দোলনকারী নেতা দৈনিক জনতার জেলা প্রতনিধি এন এম হামিদী বাবু’র নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন কচুকাটা ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান মো: মোশফিকুর রহমান। তার এক ঘন্টার মধ্যে তদন্ত ছাড়াই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা রুজু করেন অফিসার ইনচার্জ মো: তানভিরুল ইসলাম।তাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ,সদর থানার ওসিকে অপসারণসহ বেশ কয়েকটি দাবী তুলে ধরেন। দাবী পূরণ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন তারা।