“সহিংসতা মোকাবেলা করেই ভোটের প্রস্তুতি নেবে আ. লীগ”- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

“সহিংসতা মোকাবেলা করেই ভোটের প্রস্তুতি নেবে আ. লীগ”- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতের চলমান সহিংসতার মাত্রা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা দলীয়ভাবে মোকাবেলা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী  লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এমন নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশির ভাগই উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতির সূচনা বক্তব্যের পরে রুদ্ধদ্বার আলোচনা শুরু হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনাদের আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা, দলের সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতের চলমান সহিংসতার মাত্রা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা দলীয়ভাবে মোকাবেলা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী  লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এমন নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশির ভাগই উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতির সূচনা বক্তব্যের পরে রুদ্ধদ্বার আলোচনা শুরু হয়। 

দলীয় সূত্র জানায়, সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনাদের আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা, দলের সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার।

জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করাএটাই আমাদের লক্ষ্য। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করি, সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়েই কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এরা তো আসলে কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

এরা মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন করে। মানুষকে অত্যাচার করে, মানুষ পুড়িয়ে তারা উল্লাস করে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারকে উত্খাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কী কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনো গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোনো অত্যাচারও করিনি।

নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।

সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উসকানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে। বর্তমান (নতুন ঘোষিত) মজুরি নিয়েই পোশাক শ্রমিকদের কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় না থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে, আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যারা ভোট টানতে পারবে এমন নেতাদের আমি দলের মনোনয়ন দেব। দলের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি আরো বেশি ঝামেলা করার চেষ্টা করবে। নির্বাচনের পরেও তারা এগুলো অব্যাহত রাখবে। ফলে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাদের মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিতে হবে।

দলের নেতাদের বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অশোভন কোনো মন্তব্য না করতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এক নেতা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশন দেন শেখ হাসিনা।

সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায় উপকমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বরাবরের মতো এবারও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন শেখ হাসিনা ও সদস্যসচিব থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ভণ্ডুল করার যে চক্রান্ত এখন চলছে এটা আমাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে এবং এদের পরাজিত করতে হবে। এটা একটা নির্দেশনা আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নির্বাচনসংক্রান্ত ১৪টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। গতবারও ছিল ১৪টি। লোক হয়তো পরিবর্তন হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করব। আমাদের মনোনয়ন ফরম আগে ৩০ হাজার টাকা ছিল এবার ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।

Explore More Districts