সম্পদ অর্জনে এগিয়ে মুজিব, বাড়িঘর নেই আবছারের! – দৈনিক আজাদী

সম্পদ অর্জনে এগিয়ে মুজিব, বাড়িঘর নেই আবছারের! – দৈনিক আজাদী

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছার ও মুজিবুর রহমানের হলফনামা পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায় সহায়-সম্পদে মুজিবুর রহমানের ধারে কাছেও নেই নুরুল আবছার। তবে আবছার এগিয়ে আছেন শিক্ষায়।

উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ছয় বছরে মুজিবুর রহমানের সম্পদ ও আয় কয়েক গুণ বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পাস মুজিবুর রহমানের পেশা ডেইরি ফার্ম ও ফিশিং বোট। তাঁর নগদ টাকা আছে ৩৩ লাখ। কৃষি খাত থেকে তিনি বার্ষিক আয় করেন ৩২ হাজার, বাড়ি ভাড়া থেকে পান ১৪ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যবসায় তাঁর বার্ষিক আয় ৪০ লাখ ২০ হাজার। ফার্ম থেকে তাঁর আয় ৩৭ হাজার এবং নির্ভরশীলদের আয় ৭২ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে মুজিবুর রহমানের নিজের নামে ৭ লাখ টাকার দশমিক ২১৫৪ একর জমি, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ১ দশমিক ৫১ একর, ৫৬ হাজার টাকার ১৪ শতক কৃষিজমি রয়েছে। তিনি ২০২১ সালের একটি মামলার আসামি। তাঁর কোনো দায় ও ঋণ নেই।

এছাড়াও মুজিবের আছে নিজের নামে ১৩ লাখ ২ হাজার টাকা দামের নোয়া গাড়ি, ২০ লাখ টাকার একটি মাছ ধরার ট্রলার, উত্তরনে প্লট শেয়ার আছে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার, ব্যবসায় পুঁজি আছে ৯৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার।

এদিকে বিএ পাস নুরুল আবছারের কোনো বাড়িঘর নেই। বাৎসরিক আয় ৪ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদ বলতে তিনি ৪ শতক কৃষিজমির মালিক। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য ১৭ লাখ টাকা রয়েছে। আবছারের স্ত্রীর নামে রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকার স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুজনই হেভিওয়েট প্রার্থী। একজন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, অন্যজন কক্সবাজার পৌরসভার টানা চার মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান (মেয়রের আগের পদ) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার।

কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান এক বছর আগে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়ে পাননি।

Explore More Districts