এ বিবেচনায় রেলওয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ ট্রেন চালানোর উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বিশেষ এই ট্রেনে অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে কৃষিপণ্য অর্থাৎ ফল, সবজি ছাড়াও রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা যাবে। ফলে একদিকে যেমন কৃষিপণ্য ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কম খরচে ঢাকার বাজারে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো, ঠিক একই সঙ্গে রেলওয়েরও আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হলো।
তবে এটিকে সফল উদ্যোগে পরিণত করতে হলে রেলওয়েকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উতরাতে হবে। প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, খুলনা-ঢাকা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ–ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য যে বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে, সেটা শুরুতে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রচারণা হয়নি বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। খুলনা ও যশোর অঞ্চলের ব্যাপারীরা বলছেন, ট্রাকে করে ঢাকায় সবজি পাঠাতে তাঁদের কেজিতে দুই টাকা পড়ে, কিন্তু ট্রেনে করে পাঠাতে হলে মোকাম থেকে স্টেশন পর্যন্ত আনা এবং স্টেশন থেকে বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া মোট মিলিয়ে তঁাদের প্রায় দ্বিগুণ খরচ পড়ে যায়।