সকালে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। বিকালেই ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এই জেডিইউ নেতা। এতে সমর্থন রয়েছে বিজেপির।বিগত কয়েক দিন ধরেই নীতীশের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল বিহার তথা ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে। নীতীশ যে আবার এনডিএতে ফিরতে পারেন, সেই জল্পনা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছিল। নীতীশকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু কিছুই কাজে আসেনি। নীতীশ সেই ফিরেছেন বিজেপির কাছেই।বিহারে পুনর্গঠিত এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথও নিয়ে ফেললেন রোববার বিকেলেই। বিকাল পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকর শপথ বাক্য পাঠ করান তাকে। তার সঙ্গেই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিধান পরিষদের (রাজ্যের উচ্চকক্ষ) সদস্য সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় সিনহা। তারা দুজনেই হবেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আরও ৬ জন নেতা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির প্রেম কুমার।ফলে বড়সড় ধাক্কা খেল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এমনিতে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপড়েন চরমে। তার মধ্যেই লোকসভার আগে নীতীশের ইস্তফা ও বিজেপির সমর্থন নিয়ে একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথে বিরোধীদের ইন্ডিয়া ব্লক বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, জোট ছেড়ে নীতীশের বেরিয়ে যাওয়ায় ইন্ডিয়ার ক্ষতি তো হবেই না, বরং লাভ হবে। তার এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াতে বিহারে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ভাল ফলই করবে বলেও মনে করেন তৃণমূল নেত্রী।এদিকে নীতীশের দল জোট ভাঙার কারণ হিসেবে নতুন একটি তত্ত্ব তুলে ধরছে। জেডিইউয়ের নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, প্রথম থেকেই ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের দখল নিতে চেয়েছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম বলিয়ে নেয় তারা। আর সেই কাজ কংগ্রেস করিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে।যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার বক্তব্য, মমতা আর নীতীশকে কোনও ভাবেই মেলানো যাবে না। মমতা বরাবর বিজেপি বিরোধী ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবেন। এই পরিস্থিতিতে আবারও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ।
