সংসারের খরচ যোগাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুল বিক্রি! – দৈনিক আজাদী

সংসারের খরচ যোগাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুল বিক্রি! – দৈনিক আজাদী

বাবার স্বল্প আয়ে সংসারের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয় বিধায় এবার বাবাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুল বিক্রি করছে ৫ম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী৷

বাবার পাশাপাশি নিজেও রাখছে সংসারে অবদান, আর এতে আনন্দিত সে। বলছিলাম মাত্র ১০ বছর বয়সী শিশু সিফাতুর রহমানের কথা।

এতটুকু বয়সে বাবা মায়ের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে এই শিশুটি। আর তাইতো বিজয়ের মাসে এই শিশুর ফুল বিক্রি দেখে অবাক তার ক্রেতারা। অনেককেই খোঁজ খবর নিতে দেখা গেছে শিশুটির। বিজয় দিবসে সিফাতের বয়সী শিশুরা যেখানে বাবা মায়ের সাথে হাত ধরে ঘুরতে এসেছে সেখানে শিশু সিফাত প্রখর রোদে ক্লান্ত হয়ে বিক্রি করছে ফুল। ছোট্ট বালকটির এই ফুল বিক্রির দৃশ্য যেন মন কেড়ে নিয়েছে সবার।

শিশু সিফাত বলেন, স্কুল এখন বন্ধ। তাই বাবার সাথে আমিও ফুল বিক্রি করি। এতে আমার লেখাপড়ার খরচ, বাসা ভাড়ায় কিছুটা হলেও আমি বাবাকে সাহায্য করতে পারি।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্কের সামনে এভাবেই বাঁশের সাথে ঝুলানো হরেক রকমের ফুল ও ফুলের মালা বিক্রি করতে দেখা গেছে এই শিশুটিকে। শিশু সিফাতের কালেকশনে আছে হরেক রকমের ফুলের মালা ও খোপা।

প্রকারভেদে এইসব মালা ও খোপার দামের মধ্যেও আছে ভিন্নতা। তবে দাম আর মান যাই হোকনা কেন ৫০ থেকে একশো টাকার মধ্যেই কিনতে পারছে ক্রেতারা। শিশু সিফাতের কাছ থেকে ফুল ক্রয় করে খুশি ক্রেতারা।

একজন ক্রেতা বলেন, বড় হয়েও অনেক ছেলে মেয়েরা যেখানে বাবা মায়ের সাহায্য করেনা, সেখানে এই শিশুটি ফুল বিক্রি করে সংসারে অবদান রাখছে। সত্যিই সে প্রশংসার দাবীদার।

জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার ফুল বিক্রি করে তার আয় হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকা। সিফাতের বাবাও ফুল ব্যবসায়ী। তারা নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে বাকী নগদে এইসব ফুল ক্রয় করে থাকে। প্রতিটি ফুল কিংবা মালায় ১০ থেকে বিশ টাকা লাভ হয় তাদের।

সিফাতদের গ্রামের বাড়ি বি বাড়িয়া জেলায়। বাবা মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকে নগরীর মুনসুরাবাদে।

Explore More Districts