সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

৬ November ২০২৫ Thursday ৩:২৯:৩৫ PM

Print this E-mail this


বরগুনা প্রতিনিধি:

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

বরগুনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন। গত ৩০ অক্টোবর বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন তিনি। 

মামলার আসামিরা হলেন বৈশাখি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাসেল শিকদার, এ ওয়ান টিভির প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রাজুসহ আরও দুজন।

জানা গেছে, বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষের পাশের অংশে বসবাস করে আসছিলেন। বিষয়টি জেনে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে গিয়ে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখা গেছে, অফিসের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তিনি নিজ ব্যবহার করেন। অভিযোগ রয়েছে, অফিসেই এক সময় তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।

অফিসে বসবাসের ছবি ও সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গত ৩০ অক্টোবর জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈশাখি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাসেল শিকদার, এ ওয়ান টিভির প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রাজুসহ আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার পর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস এক যৌথ বিবৃতিতে এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

বৈশাখি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যাই। জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে তথ্যের বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে তিনি তার থাকার রুম খুলে দেখান এবং তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন যাতে আমি বদলি হতে পারি। 

তিনি আরও বলেন, এরপর আমরা সংবাদ প্রকাশ করি, কয়েকদিন পরে দেখি তিনি আমাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মামলার বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। আপনারা (গণমাধ্যমকর্মীরা) পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই কলটি কেটে দেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসবাসের কোনো অনুমোদন আছে কিনা তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts