গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পরও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ধরে রেখেছেন রনিল। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি চীন ও ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের পক্ষ নেননি তিনি।
তবে ক্ষমতা ধরে রাখতে রনিল সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে। এমনই একজন শ্রীলঙ্কাভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফ্যাকটামের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক উদিতা দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, রনিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। সংসদীয় রাজনীতির খুঁটিনাটি বোঝেন। বিভিন্ন পরিস্থিতি নিজের সুবিধার জন্য কাজে লাগিয়ে দেখিয়েছেন তিনি।
২০১৫-১৯ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালেও রনিলের বিরুদ্ধে রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষায় কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। উদিতা দেবপ্রিয় বলেন, ২০১৫ সালে রনিল যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন রাজাপক্ষে পরিবারকে ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত একটি পরিবার হিসেবে দেখা হতো। তিনি রাজাপক্ষেদের সাজার মুখোমুখি করার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সময় এলে থেমে যান।
রনিল সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রনিলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন শিরাল লাখথিলাকা নামের একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, সে সময় যদি কেউ রনিলের বন্ধু হতেন, তাহলেই তাঁকে সরকারি পদে দেখা যেত। এটা স্বজনপ্রীতি।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট রনিল সামাল দিতে পারবেন না বলে বিশ্বাস করেন দেশটির ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির শিক্ষাসচিব পুবুদু জায়াগোদা। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন গত চার দশকে দেশটিতে কার্যকর করা আর্থিক নীতিকে। আল-জাজিরাকে জায়াগোদা বলেন, ‘সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারীকরণের মধ্য দিয়ে আমরা জ্বালানির ওপর আমাদের সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি। জাতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়াও এর জন্য দায়ী।’