মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূূর্গাপূজা। আর এই দূর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজসাজ রব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেব দূর্গা স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। এরই ধারাহিকতায় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন করে। এ বছর ঘটকে চড়ে দেবী দূর্গার আগমন ঘটবে এবং ঘটকে চড়ে প্রস্থান করবেন। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ উপলক্ষে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। রং শিল্পীরা রং তুলির আচরে ফুটিয়ে তুলছেন প্রতিমার আসল রুপ।
কাঁশফোটা ও শিউলি শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গাপূজার প্রস্ততি। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আবাল, বৃদ্ধ-বনিতা, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দূর্গাপূজা স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছে প্রতিটি পূূূজামণ্ডবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরির কাজও ততই দ্রুতগতিতে করছেন শিল্পীরা।
উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। আবার কোথাও শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন মা দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব মূর্তির। কোনো কোনো মূর্তিতে পরানো হয়েছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন সরকার জানান, প্রতি বছর ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সর্বজনীন দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উপজেলার ১৫২ টি মন্দিরে প্রতিমা স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছেন। সনাতন ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে ২০ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গোৎসব।