মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার লাঁঙ্গলবাধ হতে বাখেরা জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় সাইড ক্যানাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। সেচ মৌসুমে পানি না থাকায় শ্রীপুর থেকে কাজলি বাজার পর্যন্ত এ খনন কাজ চলছে। কিছুদিন ধরেই ভেকু দিয়ে চলছে খনন কাজ। দীর্ঘদিন ক্যানালটি সংস্কার না করায় সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে আসছিলো। কৃষকের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যানালের খনন কাজ শুরু হয়। ক্যানাল খননের জন্য সমস্যায় পড়েছে পথচারীসহ ও দু-পাড়ের মানুষ। এক প্রকার কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে খনন কাজ। ক্যানালের ভিতর থেকে মাটি তুুুুলে রাখা হচ্ছে পাড়ের দু-পাশের রাস্তার উপর। ফলে জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে খনন কাজের ফলে এমনটি হয়েছে বলে দাবি এলাকার মানুষের দাবি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অপরিকল্পিতভাবে ক্যানালের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীপুর থেকে কাজলি বাজার পর্যন্ত ছোট ক্যানালের খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাটি ফেলা হয়েছে ক্যানালের দু-পাড়ে রাস্তার উপর। রাস্তার কোথাও পাকা, কোথাও কাচা আবার কোথাও ইটের সলিং। রাস্তায় উপর মাটি রাখার কারণেও চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। হালকা বৃষ্টিতেও এ রাস্তায় চলাচলের কোন উপায় নেই। এমনকি যেভাবে মাটি রাখা হচ্ছে হালকা বৃষ্টি হলেই পাড়ের মাটিতে আবারও ক্যানাল ভরাট হবে। এছাড়া দু-পাড়ের অনেকেই জনসম্মুখে এমনকি অগোচরে যে যার মত পারছেন পাড়ের মাটি হরিলুট করে চলছে। এমন কিছু জায়গাও চোখে পড়েছে যেখানে ভাঙা পাড়, কিন্তু পাশে কোন মাটি নেই। এ মাটি দিয়েই আশেপাশের অনেকেই নিজেদের বসত বাড়ির জায়গা ভরাট করে নিয়েছে। সারাদিন নসিমন, ছোট ট্রাক, ভ্যান এমনকি মাথায় করেই যে যার মত পারছে মাটি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এ বিষয়ে সারঙ্গদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ক্যানাল খুঁচে সব মাটি রাস্তার উপর ফেলা হচ্ছে। এ রাস্তায় কোন ভাবেই আমরা বের হতি পারছিনে। আমরা খুব সমস্যার মধ্যে রইছি। তাছাড়া কাচা রাস্তাটি এ মাটি দিয়েই বান্ধা হয়ে যায়। কিছু জায়গার সব মাটি নিয়ে গেছে। আবার কিছু জায়গা পাহাড়ের মত উচো হয়ে আছে। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।
মাটি নিতে আসা সারঙ্গদিয়া গ্রামের হারেজ বলেন, নতুন বাড়ি করেছি। সবাই এই মাটি নেচ্ছে তাই আমিও নিচ্ছি।
ভেকু চালক আব্দুল রাশিদুল ইসলাম বলেন, কন্টাকটার আমাদের যেভাবে মাটি ফেলতে বলেছে আমরা সেইভাবেই ফেলছি। রাস্তার মাটি কি করতে হবে এখনো আমাদের বলিনি। তিনি আমাকে যেভাবে বলবেন আমি ঠিক সেভাবেই কাজ করছি।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, আশেপাশের বাড়িগুলো মাটি নিয়ে যদি উপকৃত হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কোন আপত্তি নেই। রাস্তায় মাটি ফেলাই চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত রাস্তার উপর থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
পোষ্ট শেয়ার করুন
Related