শেয়ালের কামড়ে শিক্ষার্থীসহ আহত দুইজন,আতঙ্কে গ্রামবাসী
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে শিয়ালের কামড়ে প্রান্ত (১২) নামের এক শিক্ষার্থী ও সায়দার রহমান (লল্টু) (৪৯) নামে এক কৃষক গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়েছেন।
এছাড়াও ওই এলাকায় অন্তত ৫ টি গরুকে কামড় দিয়েছে শেয়ালটি। শেয়ালের আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামটিতে। শিশু ও গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের ফকিরপাড়া এলাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার(১৩ জানুয়ারী) বিকালে অসুস্থ অবস্থায় শিক্ষার্থীকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বেলা এগারদিকে পলাশবাড়ি উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। আহত প্রান্ত খন্দকার কুমারগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের চতূর্থ শ্রেনীর ছাত্র। আহত কৃষক সাইদুর রহমান একই গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে।
সায়দার রহমান জানান,গতকাল বিকালে বাড়ির পাশে একটি গরুকে শেয়াল কামড়াতে থাকে। পরে তিনি গরুকে বাঁচাতে গেলে শেয়ালটি তার হাতে কামড় দেয়। এ সময় আশেপাশে লোকজন আসলে শেয়ালটি পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে তিনি জলাতঙ্ক (ভ্যাকসিন) দিবেন না।
একই দিনে সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে করোনার টিকা নিতে প্রান্ত তার ভাইয়ের সঙ্গে পলাশবাড়ি উপজেলায় যাচ্ছিল। এসময় পথে বাঁশঝাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে একা পেয়ে পেছন থেকে আক্রমন চালায় একটি শিয়াল।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশে লোকজন লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। পরে ঐ শিক্ষার্থী কে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: কানিস ফাতেমা দৈনিক অধিকারকে জানান, গুরুতর ওই শিক্ষার্থীকে শুরুতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার ঠোঁট,হাত ,মুখ ও দু’পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত স্থান পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আপাদত সে আশংকা মুক্ত রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর…