গত দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে শতশত মানুষ। মহারশি নদীর দিঘিরপার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত বুধবার থেকে দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
মহারশি নদীর ঢলের পানির তোড়ে দিঘিরপাড় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বৃহস্প্রতিবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে আরও প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
ঝিনাইগাতী সদর বাজার,হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়াগুলো ৩ থেকে ৪ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে সরকারি দপ্তরগুলোতে কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। সকালে নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদী পার হতে গিয়ে ইব্রাহিম নামে এক ব্যাক্তি নিখোঁজ হয়েছে। উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন সোমেশ্বরী নদীর পানি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউনিয়নের পুরো গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে বাগের ভিটা চাপাতলি সেতুটি হুমকির সম্মুখিন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি। সামান্য কিছু শাক সবজির ক্ষতি সাধিত হয়। তবে আকর্ষিক পাহাড়ি ঢলে পুকুর তলিয়ে মাছের ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে ।
উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান খান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসএইচ