শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী একটি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (১০সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের তিরাইল বিশ^া নামক স্থানে মহাশশ্মানে অবস্থিত বেলগাড়ী কালী মন্দিরে ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এছাড়া আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগ মুর্হুতে এমন ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের নেতারাও উদ্বেগ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অত্র মন্দির কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রবিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় এক যুবক মাঠে গরুর ঘাস কাটতে যান। একপর্যায়ে মহাশশ্মান এলাকায় গেলে দেখেন কালী মন্দিরটির প্রধান ফটকের তালা ভাঙা। সেইসঙ্গে মন্দিরের ভেতরে রক্ষিত প্রতিমার বিভিন্ন অংশও ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে। পরে ওই যুবক গ্রামে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। তাৎক্ষণিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মূলত এরপরেই ওই মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাটি জানাজানি হয়।
কালী মন্দির কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সম্ভবত শনিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ঢুকে মূর্তিগুলো ভাঙচুর করে থাকতে পারেন। কারণ একদিন আগেও মন্দিরের প্রতিমাগুলো অক্ষত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনাটি জানার পর ওই মন্দিরটি পরিদর্শন করেছি। সেইসঙ্গে এই মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে ইতিমধ্যে কাজ করা হয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওসি আতাউর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনাটি গুরুতের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে মূর্তি ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উক্ত ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ নিন্দা। সেইসঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি করেন তিনি।