নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংকই শুধু নয়, ‘গ্রামীণ’ নামে কিছুই থাকবে না। তখন ১৪ কলস পানি খেলেও কাজ হবে না। শেখ হাসিনা যখন তাকে সুদখোর বলেছিলেন, তখন তার পাশে ছিলাম আমি।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের পর এক নম্বর ছিল ধানের শীষ, কিন্তু এখন তারা পেটের বিষ। এভাবে চলতে থাকলে হাসিনার মতো তাদেরও পতন হবে।”
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ, ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না গেলে আমরাও যাবো না। আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না, বঙ্গবন্ধু ও ভাষানীর আওয়ামী লীগ করি। জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি, এখনো জয় বাংলা বলি—আমাকে গ্রেফতার করলেও জয় বাংলা বলবো।”
জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী এককভাবে নির্বাচন করলে ৫টি আসনও পাবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকার জন্য দেশবাসীর কাছে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
সোমবার বিকেলে উপজেলার হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২ নম্বর বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আব্দুল্লাহ মিয়া বীর প্রতীক, এ কে এম সালেহ হিটলু, ইশাদ সিদ্দিকী, রাহাত হাসান টিটু, সানোয়ার হোসেন সজিব, সানোয়ার হোসেন মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আলমগীর সিদ্দিকী, আবু জাহিদ রিপন, দেলোয়ার মাস্টার, আশিক জাহাঙ্গীর, সোহেল রানার রিপন প্রমুখ।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশদের পক্ষে ছিল, আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে। এখন তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।”

