শিশু শ্রম: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি – Habiganj News

শিশু শ্রম: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি – Habiganj News

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এর মতে শিশুশ্রম হলো এমন কাজ, যা একটি শিশুর বয়স এবং কাজের ধরন অনুসারে ন্যূনতম সংখ্যক ঘন্টা অতিক্রম করে। আইএলওতে কর্মক্ষেত্রে শিশুদের সম্পর্কিত তিনটি বিভাগ রয়েছে: অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় শিশু, শিশুশ্রম এবং বিপজ্জনক কাজ। ১২ বছরের কম বয়সী বা বিপজ্জনক কাজ করলে শিশুকে শিশুশ্রমিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। শিশুরা তাদের শারীরিক, মানসিক বা উন্নয়নমূলক স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকলে বিপজ্জনক কাজ করার জন্য শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ইউনিসেফ শিশুশ্রমকে সংজ্ঞায়িত করেছে এভাবে, যা শিশুর স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে প্রভাবিত করে। আরও বলা হয়েছে যে, শিশুশ্রম এমন একটি কাজ, যা শৈশব কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত করে, শোষণ এবং অপব্যবহার করে। ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন দ্য এলিমিনেশন অব চাইল্ড লেবার কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় শিশুদের সংজ্ঞায়িত করে ‘গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের আনুষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বেতনভুক্ত এবং অবৈতনিক কাজ’। এই সংজ্ঞাটি তাদের নিজের বাড়িতে কাজ করা শিশুদের বাদ দেয়। প্রধানত দু’টি সেক্টরে বাংলাদেশে শিশুশ্রম বিরাজমান; (১) আনুষ্ঠানিক সেক্টর যথা: শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, জাহাজ ভাঙ্গা, ইত্যাদি। (২) অনানুষ্ঠানিক সেক্টর; যথা: কৃষি, পশুপালন, মৎস্য শিকার/মৎস্য চাষ, গৃহকর্ম, নির্মাণকর্ম, ইটভাঙ্গা, রিকশাভ্যান চালনা, মজুর, ছিন্নমূল শিশু ইত্যাদি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ৫-১৪ বছর বয়সী শিশুদের যারা বেতন বা অবৈতনিক উভয় ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ঘন্টা (প্রতি সপ্তাহে) কাজ করে, তাদের শিশুশ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করে। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য, যেকোনো অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে শিশুশ্রম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গৃহস্থালির ভিতরে এবং বাইরে উভয় কাজ শিশুশ্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন (২০০৬) অনুযায়ী শিশু ও কিশোরদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ১৪ বছর এবং ১৪-১৮ বছর। এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র ব্যতিরেকে ১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশু বা কিশোরকে কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ১৪-১৮ বছর বয়সীদের কোন ধরণের শ্রমে এবং কত কর্মঘন্টার জন্য নিয়োগ দেওয়া যাবে তা-ও সুস্পষ্টভাবে এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনে আরও বলা হয়েছে যে, ১২ বছর বয়সী শিশু কিশোরদের কেবল মাত্র সে ধরণের হালকা কাজেই নিয়োগ করা যাবে, যেখানে তাদের শারীরিক ও মানসিক কোন ক্ষতি হবে না এবং যা তাদের শিক্ষা গ্রহণকে বিঘ্নিত করবে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন (২০০৬) অনুযায়ী শিশু ও কিশোর নিয়োগে বাধা-নিষেধ বিষয়ে ধারা ৩৪ এ বলা আছে, কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না, কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাবে না বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না, যদি না- (ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে, এবং (খ) কাজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন। কোন পেশা বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের শিক্ষাধীন হিসাবে অথবা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উপ-ধারা কিছুই প্রযোজ্য হইবে না সরকার যদি মনে করে যে, কোন জরুরী অবস্থা বিরাজমান এবং জনস্বার্থে ইহা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত সময়ের জন্য উপ-ধারা (২) এর প্রয়োগ স্থগিত ঘোষণা করিতে পারবে৷

এছাড়াও ধারা ৩৪ এ বলা আছে, কোন শিশুর মাতা-পিতা বা অভিভাবক শিশুকে কোন কাজে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিয়া কাহারও সহিত কোন চুক্তি করিতে পারবেন না৷ ধারা ৩৯ এ বলা আছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিস্কারের জন্য, উহাতে তেল প্রদানের জন্য বা উহাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘুর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘুর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। কিশোর শ্রমিকদের কোনো কারখানা বা খনিতে দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি এবং সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করানো যাবে না। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একজন কিশোর শ্রমিককে দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪২ ঘণ্টা কাজের কথা বলা হয়েছে। তাদেরকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজ করানো যাবে না। আইনের ২৮৪ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি কোন শিশু বা কিশোরকে চাকুরীতে নিযুক্ত করলে, অথবা এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করে কোন শিশু বা কিশোরকে চাকুরী করবার অনুমতি দিলে, তিনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।

আইএলও এর মতে বিশ্বে ১৬০ মিলিয়ন শিশু শ্রমিক আছে। এর মধ্যে ৭৫ মিলিয়ন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত। ৯৭ মিলিয়ন ছেলে শিশু এবং ৬৩ মিলিয়ন মেয়ে শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম জরিপের তথ্য মতে, শ্রমশক্তিতে শিশু রয়েছে সাড়ে ৩৪ লাখ। এর মধ্যে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে। কৃষিতে ৫৬.৪ শতাংশ, সেবা খাতে ২৫.৯ শতাংশ এবং শিল্পে ১৭.৭ শতাংশ শিশু নিয়োজিত। দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখে। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি এ শিশুরা পূর্ণকালীন শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। আর্থিক অনটন ছাড়াও পরিবারের সহযোগী হয়ে তারা শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে যে শিশুরা সপ্তাহে এক ঘণ্টার বেশি কর্মে নিয়োজিত থাকে তাদের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার। গৃহস্থালীর কাজে নিয়োজিত শিশুদের সম্পর্কে তথ্য সহজলভ্য নয়। গৃহস্থালীর কাজে নিয়োজিত এমন শিশুদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই মেয়ে। এদেরকে সপ্তাহে সাত দিনই দীর্ঘসময় ধরে কাজ করতে হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে শিশুদের সরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (UNCRC), আইএলও কনভেনশন ১৮২-সহ শ্রম সংক্রান্ত তেত্রিশটি কনভেনশন বাংলাদেশ সরকার অনুসমর্থন করেছে। সরকার ও মালিকপক্ষীয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরকে শিশুশ্রম মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কৃষিসহ অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুদের শ্র্রমের হার অনেক বেশী। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সে লক্ষ্যে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে শিশুশ্রমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের শিশুশ্রম সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১.৭৭ মিলিয়ন, তন্মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১.০৬৮ মিলিয়ন। শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক “জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০” প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতির আলোকে National Plan of Action (NPA), 2021-2025 বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি ও উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন উপজেলা শিশুশ্রম নিরসনে সভা/সেমিনারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ’ ও ‘জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি’ কর্তৃক সচেতনতামূলক সভা/কর্মশালা আয়োজনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাজ করছে।

শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশের পক্ষে অন্তরায় এমন ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে আরো ০৫টি কাজ অর্ন্তভূক্ত করে মোট ৪৩টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা বিগত ২৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৬টি শিল্প সেক্টরকে (ট্যানারি, রপ্তানীমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা শিল্প, জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ, সিল্ক, সিরামিক ও কাঁচ)-কে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হয়। ইতোপূর্বে গার্মেন্টস শিল্প ও চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতে নারী ও শিশুশ্রম শাখাটি দেশে শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত সকল নীতি ও কার্যক্রম সম্পাদনের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকগণ নিয়মিত শিশুশ্রম সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করছে।

‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ অনুসারে ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মে নিযুক্ত করা যাবে না। কিন্তু এ নিয়ম দারিদ্র্যের কাছে টিকছে না। শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯৪ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে। দরিদ্র শিশুরা বাসাবাড়ি, রেস্তোরাঁ, কারখানা, কৃষিকাজ, ভিক্ষাবৃত্তি, পরিবহন, নির্মান শ্রমিক হিসেবে ও বিভিন্ন সেবামূলক শ্রমের সঙ্গে যুক্ত। কারখানা আইনেও শিশুশ্রম নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে তাহলে অর্থদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক দুরাবস্থাও শিশুশ্রমের অন্যতম কারণ।

সম্প্রতি ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দেশের সার্বিক শিশুশ্রম পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করবে। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০ এবং এ সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নে পরামর্শ প্রদান, প্রতিকূল শিশুশ্রম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দিকে নির্দেশনা প্রদান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়ন সমন্বয়, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ করবে। এছাড়াও শিশুশ্রম নিরসন সম্পর্কিত বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি সমূহের কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করবে। মোটকথা শিশুশ্রম কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি পুরো বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশকে এই সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও সংগঠনকে নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালণ করতে হবে, যাতে প্রতিটি শিশু তার শৈশবের স্বপ্ন বাঁচাতে পারে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।

 

লেখক: আবদুল মালেক
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

Explore More Districts