শুক্রবার সকালে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে ভেরানো হয় প্রিন্স অব মেদেনী মন্ডল ও এমভি শ্রেষ্ঠ-১ লঞ্চ দুটি। মেদেনী মন্ডলের যাত্রী ধারণক্ষমতা ১৪৫, আর শ্রেষ্ঠ-১–এর যাত্রী ধারণক্ষমতা ১১৫ জন। কিন্তু দুটি লঞ্চেই চার শতাধিক করে যাত্রী আনা হয়েছে।
ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী কেন ওঠানো হয়েছে, জানতে চাইলে প্রিন্স অব মেদেনী মন্ডল লঞ্চের মাস্টার (চালক) নয়ন মিয়া বলেন,‘শিমুলিয়া ঘাটে পন্টুনে লঞ্চ নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি লঞ্চে উঠে যায়। আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। তখন আর গুনে যাত্রী তোলার অবস্থা থাকে না।’
শ্রেষ্ঠ-১ লঞ্চের চালক নুরুল হক ঢালী প্রথম আলোকে বলেন,‘আমি যে লঞ্চটির চালক, সেটির কাগজপত্রে ধারণক্ষমতা ১১৫ যাত্রীর। কিন্তু যাত্রী উঠানো যায় ৩০০–৩৫০ জন। তাতে কোনো অসুবিধা হয় না। ১১৫ যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে কি খরচ উঠবে? তাই খরচ পোষাতে কাগজে লেখা ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী তুলতে হয়। আর ঈদের সময় মানুষের চাপ বেশি থাকে। তখন এমনিতেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’