চাঁদপুরে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ৪র্থ দিনে গড়িয়েছে। এতে করে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেড়েছে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি।
১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শহরের গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল থেকেই দেখা গেছে এক অচেনা নীরবতা। শিক্ষকরা এসেছেন ঠিকই, কিন্তু কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না। পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা কেউ শিক্ষক মিলনায়তনে, কেউ বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীরা এসে ফিরে যাচ্ছে হতাশ হয়ে। কোন কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করছে।
চাঁদপুর শহরের একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যথা সময়ে প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে এবং শিক্ষকরাও এসেছেন। শিক্ষার্থীরা আসলেও তাদের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে আড্ডা ও গল্পে সময় কাটাতে দেখা যায়।
ক্লাস না হলে যদি স্কুল বন্ধ থাকে, তাহলে আমরা বাচ্চাদের আর স্কুলে পাঠাবো না। এতে করে আন্দোরনের নামে বাচ্চাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাহফুজ, রাফি, গৌরব, মুকিত, সুলতানা, আখিঁ, জোবাইদাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা বলেন, আমরা প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে আসি। কিন্তু আমাদের রোল কল পর্যন্ত করা হয় না। ক্লাস যদি না হয় তাহলে আমাদের স্কুলে আসার কি দরকার। আমাদের সামনে পরীক্ষা রয়েছে, এতে করে আমাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, প্রতিদিন স্কুলের উদ্দেশ্যে বাচ্চারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। আন্দোলনের জন্য শ্রেনী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ক্লাস না হলে যদি স্কুল বন্ধ থাকে, তাহলে আমরা বাচ্চাদের আর স্কুলে পাঠাবো না। এতে করে আন্দোরনের নামে বাচ্চাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির আহমেদ বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারনে কর্মবিরতি চলছে। তবে শিক্ষকরা প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে আসছেন। শিক্ষার্থী যারা আসছে তাদের রোল কল করা হচ্ছে।
লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক সমর কান্তি দাস বলেন, আমাদের কর্ম বিরতির কথা শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। তারপরও কিছু শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। যারা প্রতিষ্ঠানে আসে তাদেরকে আমরা স্কুলের কক্ষে থাকতে বলি। শিক্ষকরা প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে আসেন।
চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক জানান, শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে আসছে। যারা আসে তাদের রোল কল করা হয়। তবে অতি দ্রুতই শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,
১৬ অক্টোবর ২০২৫