মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
শালিখা উপজেলার আনন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১টি গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বি কালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মমকর্তা মোঃ আকবর আলীর লিখিত নির্দেশে ৮টি মেহগুণি, ১টি কাঁঠাল ও দুইটি রেন্টি গাছ কর্তন করছে শ্রমিকরা।
প্রথমে গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে গাছ গুলো কাটা হচ্ছে৷ স্থানীয়দের মতে গাছ ১১টির মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন হোসেন ও এলাকার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, এই সময় বিদ্যালয় বন্ধ। ছুটির দিন প্রশাসনের লোকজনও আসবে না এ সুযোগে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাম মাত্র টেন্ডার দেখিয়ে গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। গত মাসের ৬ তারিখে টেন্ডারের জন্য শিক্ষা অফিসের লোকজন বিদ্যালয়ে এসেছিল কিন্তু সরকারী ভিত্তি মূল্য না উঠায় টেন্ডার হয়নি, তারা বলেন আজ গাছগুলো টেন্ডার হবে না ৷ টেন্ডারের জন্য পর্বতী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে৷ অথচ তিনি গোপনে অফিসে বসে গাছ গুলো বিক্রয় করে দিয়েছেন৷

গাছের ব্যাপারী সীমাখালী গ্রামের হোসেন আলী মোল্যা বলেন, গাছ টেন্ডার হবে বলে প্রথমে শিক্ষা অফিসের লোকজন আমাদেরকে স্কুলে ডেকেছিলেন৷ কিন্তু টেন্ডার হয়নি৷ পরে আমাকে শিক্ষা অফিসে ডেকে নিয়ে ৭১ হাজার ৪শ টাকা জমা নিয়ে লিখিত ভাবে কাটতে অনুমতি পত্র দিয়েছেন৷ তাই আমি গাছ গুলো কর্তন করছি৷
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর আলী বলেন, প্রথম ওপেন টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। গাছ গুলোর সরকারী নির্ধারিত দর উঠিনি৷ পরবর্তীতে লোকাল টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে টেন্ডার করে ওই ব্যাপারীকে গাছ দেওয়া হয়েছে৷
পোষ্ট শেয়ার করুন
Related