শরণখোলায় মাদরাসা সুপারের মারধরে ছাত্রী আহত, হাসপাতালে ভর্তী
বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদরাসার ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে মারধর করে আহত করেছে ওই মাদরাসার সুপার জামায়াতে নেতা মাওলানা ওবায়দুল হক। আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী রয়েছে। এব্যপারে ছাত্রীর ভাই ও দাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। সুপার ওবায়দুল হক জামায়াতে ইসলামী শরণখোলা শাখার সাবেক আমির।
মারধরে আহত ছাত্রী আবিদা সুলতানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার সময় মাদ্রাসা সুপার ওবায়দুল হক সবাইকে অজু করে নামাজ পড়তে বলেন। কিন্তু সে শারীরিক অসুস্থ থাকায় অজু করতে অস্বীকৃতি জানালে সুপার তাকে বেদম মারপিট শুরু করেন। মারপিটের এক পর্যায়ে সে ঘাট থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে সহপাঠীরা ও তার ভাই তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে শরণখোলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এস এম ফয়সাল আহম্মেদ জানান, মেয়েটির শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে এখন সে ভালো আছে।
আবিদার ভাই রেদোয়ান বলেন, মারধরের খবর পেয়ে মাদরাসায় ছুটে গিয়ে দেখি আবিদা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমনকি তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সাথে সাথে তাকে শরণখোলা হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করি।
আবিদের পিতা এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়ের মারধরের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, এ ব্যপারে শুক্রবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। কমিটির মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে ছাত্রীর দাদা তাক জানালে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন এব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।