লিবিয়ার মাফিয়া তিন জামাতার মাধ্যমে উত্থান দালাল মনিরের

লিবিয়ার মাফিয়া তিন জামাতার মাধ্যমে উত্থান দালাল মনিরের

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কুদ্দুস ব্যাপারী (৩৩) ছিলেন মালয়েশিয়ায়। ছয় মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন। এরপর স্থানীয় দালাল মনিরের প্রলোভনে পড়ে ইতালি যেতে রাজি হন তিনি। অবৈধ পথে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছাতে ১৬ লাখ টাকায় হয় ‘বডি কন্ট্রাক্ট’।

অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার অন্যতম একটি পথ লিবিয়া। এ পথে ইউরোপে যাওয়ার জন্য মূলত ব্যবহার করা হয় ছোট ছোট নৌকা। এসব নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। প্রতিবছর এ পথে যাত্রা করতে গিয়ে প্রাণ হারান অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ জন্য এ কাজে দালালেরা চালু করেছেন ‘বডি কন্ট্রাক্ট’ চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় যত দিন লাগুক, অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইতালি জীবিত পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে টাকা নেন দালাল। সে পর্যন্ত একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর থাকা, খাওয়া, বিমানভাড়া—সবকিছুই বহন করে দালাল চক্র।

কুদ্দুস ব্যাপারী দালাল মনিরের টাকা পরিশোধ করতে তাঁর দুই বিঘা জমি ৪০ লাখ টাকা মূল্যে মনিরের স্ত্রী হামিদা বেগমের নামে লিখে দেন। চুক্তি অনুযায়ী মনির তাঁকে অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে পাঠালেও সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে কুদ্দুসের কোনো খোঁজ মিলছে না। পরিবারের ধারণা, আরও অনেকের সঙ্গে কুদ্দুসও মারা গেছেন।

কুদ্দুস ইতালি যাচ্ছেন শুনে তাঁর ভগ্নিপতি সুজন হাওলাদার (৩৯) বডি কন্ট্রাক্টে দালাল মনিরকে ১৬ লাখ টাকা দেন। তিনি এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

Explore More Districts