বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখ দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে পালিয়ে যায় লাখাইয়ে আওয়ামী লীগ গো সহযোগী সংগঠনের হেভিওয়েট নেতাকর্মীরাও।
যারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি, তারা গা ঢাকা দেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শতশত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত হয় বাংলাদেশ।
লাখাইয়ে দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ মাসের বিরতি শেষে আবারো সক্রিয় হতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে এত ছাত্র-জনতা হত্যার পরেও তাদের মধ্যে নেই বিন্দুমাত্র অনুশোচনা, বরং তারা প্রতিশোধের নেশায় মত্ত রয়েছে।
লাখাইয়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা জানান আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রিয়তোষ দাস এর নেতৃত্বে লাখাই বাজারে আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে বিভিন্ন গোপন মিটিং এ সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়াও সে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে বলে দেখা যায়।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের লাখাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নিরেঞ্জন দাস সক্রিয়তায় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ নেতা বিজয়কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ নেতা সনজিত শীল উপজেলা আওয়ামী লীগ, কোষাধক্ষ্য, প্রিয়তোষ দাস আওয়ামী লীগ নেতা নিহার রঞ্জুর দেব, আওয়ামী লীগ নেতা মনা রায়, সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তাদের সক্রিয়তার জানান দিচ্ছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এমন সক্রিয় কর্মকান্ডের ফলে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন অনেকে। যাদের মধ্যে অনেকের নামে ছাত্র-জনতার হত্যা মামলাও রয়েছে। তাদের দাবি এত ছাত্র-জনতা হত্যার পরেও কিভাবে তারা এত তাড়াতাড়ি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তাহলে পুলিশ-প্রশাসনের কি করছে বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে।
লাখাই স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই ফারুক মিয়া নেতৃত্বে একদল পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে অভিযান করলে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিরেঞ্জন দাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ প্রিয়তোষ দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জ্যোতিষ পাল এর নেতৃত্বে প্রায় ১০০/১৫০নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘেরাও করে।
স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্ছ মোঃ নুন্নু মিয়া বলেন, সন্ধ্যার পর ফাড়িতে ২০ /২৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা এসে বলেন, আমাদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে লাভ কি আমরা নিরীহ মানুষ বিগত সময়েও আমরা কাহারো বিরুদ্ধে কিছু করিনি।
তিনি আরো বলেন, কয়েকজন আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত নেতা রয়েছে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তাদেরকে পেলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।