দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীকে। তার বিপরীতে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন।
বর্তমান সংসদ সদস্য বিকল্পধারার মহাসচিব ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল মূল আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের অন্য জোটের মধ্যে আসন বন্টনে এ আসনটি দেওয়া হয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদকে (ইনু)। এতে সাধারণ ভোটার এবং আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নতুন ‘মেরুকরণ’ দেখা দিয়েছে নির্বাচনী মাঠেও।
আওয়ালীগ নেত্রী লাইলীর পরিবর্তে নৌকা নিয়ে এ আসনে লড়বেন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল- জাসদ (ইনু) নেতা মোশারফ হোসেন। যিনি পূর্বেও এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। জাসদের এ নেতা ৬০ এর দশকে অবিভক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে রামগতি-হাতিয়াসহ দ্বীপাঞ্চলে মুজিব বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার ছিলেন তিনি।
মোশারফ হোসেন রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও ব্যবসায়িক কাজে বসবাস করেন ঢাকাতে। ফলে, বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটা ‘অচেনা’ । এ জাসদ নেতার নৌকায় মনোনয়ন পাওয়ার পর এখন আলোচনার মধ্যে চলে এসেছেন। জোটের স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তে লাইলীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় আলোচনায় রয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন। যিনি আওয়ামী লীগের একটি অংশকে নিজের কাছে ভিড়িয়েছেন
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, আমি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকে ভোট করতেছি। আওয়ামী লীগের বিশাল একটি অংশ আমাকে সহযোগীতা করতেছে। সবাই মিলে আমরা ভোট করবো, এটাই প্রত্যাশা করতেছি। আমি দেশবাসীর উন্নয়ন করতে চাই। উন্নয়নের সহযোগী হতে চাই। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আশাকরি তারা আমার পক্ষে থাকবে, নৌকার পক্ষে কাজ করবে।
মিসু সাহা নিক্কন, বার্তা/12-23