র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
১। ভিকটিম মোঃ তামিম হোসেন (০৭), এর পিতা মোঃ সুন্নত আলীর (৩৫) সাথে অনুমান ০২ মাস পূর্বে আসামি মোঃ আল-আমিনের সক্ষতা (বন্ধুত্ব) গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে আসামি মোঃ আল-আমিন ইং ১৭/০৪/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় চুয়াডাঙ্গা থানাধীণ হানুরবাড়াদি গ্রামস্থ বাদীর বাড়ির পিছনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে ভিকটিম মোঃ তামিম হোসেন (০৭) কে ফুসলিয়ে অপহরণ করে। উক্ত ঘটনাটি ঘটার পরে ভিকটিমের পিতা সুন্নত আলী বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যাহার প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মামলা নং-১৭, তারিখ-১৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/২০২০) রুজু হয়।
২। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ঘটনার বিষয়টি জনাব মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয় অবগত হওয়ার পর তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় র্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল জনাব মোঃ উসমান গণি, সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে অদ্য ইং ১৮/০৪/২০২৪ তারিখে মামলা রুজু হওয়ার ০৬ ঘন্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীণ চন্দনগাঁতী দক্ষিনপাড়া গ্রাম হতে অপহৃত ভিকটিম মোঃ তামিম হোসেন (০৭) কে উদ্ধার পূর্বক উক্ত ঘটনার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মোঃ আল-আমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ আল-আমিন (২৯), পিতা- মোঃ আব্দুল কাদের, সাং- মেষতলী বাজার, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।
র্যাবের এ ধরণের চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলার অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও পলাতক আসামি গ্রেফতার অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরণের তৎপরতা বাংলাদেশকে একটি অপরাধ মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
স্বাক্ষরিত…….
মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম
অতিরিক্ত ডিআইজি
অধিনায়ক
র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ।