রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হল ৮৯৮ রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হল ৮৯৮ রোহিঙ্গা

আসছে শীতকাল। এই শীতকালে কৃষকদের মাঠে মাঠে দেখা মেলে বাহারী শাক-সবজির। আর তাই শীত মৌসুমের আগাম সবজি চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমী চারা ব্যবসায়ীরা।

দিন দিন সবজির বীজ ও শ্রমিকের মজুরী বাড়তে থাকায় চারার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সেই তুলনায় চারার দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় লাভ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কৃষকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে কৃষি বিভাগ বলছেন, বীজ উৎপাদনে বেসরকারী পর্যয়ে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে এমন কৃষকরা উপকৃত হতো।



ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার সাথে সাথেই রাস্তার ধারে চোখে পড়ে সারি সারি বীজতলা। বৃস্টি থেকে চারাগুলোকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয় বীজতলাকে।

শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া এলাকার বীজ তলায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা কেউ বীজতলার আগাছা পরিস্কার করছেন, কেউ বিক্রির জন্য চারা তুলছেন, আবার কেউ বীজ রোপনের জন্য মাঠে কাজ করছেন। এমনভাবে একেক জন কৃষক যার যার মতো কাজ করে যাচ্ছেন।

তাদের মধ্যে কথা হয় কয়েকজন কৃষকের সাথে। তাদের মুখ থেকে জানা যায়, শীতের পূর্বাবাস পাওয়ার সাথে সাথেই শীতকালীন শাক-সবজির বীজতলায় মৌসুমী চারা ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রতি বছরের শীতের পূর্বেই নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া, খড়কমারা, চাঁদপাশাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শীতের এই আগাম সবজির বীজতলা তৈরী করে থাকেন। তারা মূলত ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, টমেটো, মরিচ, মিষ্টি কুমড়াসহ বেশকিছু সবজির জন্য তৈরী করেন বীজ তলা।

নরসিংদী ছাড়াও সিলেট, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে কৃষকরা সবজি চারা ক্রয় করতে এখানে চলে আসনে। এই এলাকায় উৎপাদিত চারা সঠিক ও উন্নত জাতের হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চাহিদা ব্যাপক। এছাড়া কম দামে চারা কিনতে পেরে দুর-দুরান্ত থেকে কৃষকরা এখানে ছুটে আসেন।

চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত শওকত আলী, মজিবুর রহমান ও সজিব মিয়া জানান, প্রতি বছরই বীজের দাম বাড়ছে, সাথে বাড়ছে শ্রমিকের মজুরীও কিন্তু সেই তুলনায় চারার দাম বাড়ানো যাচ্ছেনা। এছাড়া বৃষ্টি হলেই চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে যার জন্য আগের তুলনায় লাভ অনেক কম হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে চারা নিতে আসা রবিন নামের এক যুবক জানায়, তাদের এলাকায় এসব চারা পাওয়া যায় না, এখানে সব ধরনের চারা কম দামে সঠিক মানের পাওয়া যায়, যার জন্য এখানে আসা।

স্থানীয় শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাদেক জানান,শীতের আগাম সবজি চারা উৎপাদনের সাথে শিবপুরের প্রায় ১০টি গ্রামের ৪০০ কৃষক এবছর সারে ৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন। আর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

বীজের দামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বীজ উৎপাদনকারী এক মাত্র প্রতিষ্ঠান বিএডিসি। তাই সারাদেশে বীজ সরবরাহ তাদের দ্বারা সম্ভব হয় না। বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে কৃষকরা বীজ সঠিক দামে ক্রয় করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

Explore More Districts