রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৩ হাজার জনশক্তি প্রয়োজন

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৩ হাজার জনশক্তি প্রয়োজন

বার্তাকক্ষ : ঈশ্বরদীর রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় প্রায় ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন হবে ।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে রূপপুর এনপিপি নির্মাণের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়।

রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন,বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) যৌথভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জ্বালানি পুনরায় লোডিং, রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহোলিং এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রূপপুরের দুটি চুল্লির জন্য জনশক্তির প্রয়োজন হবে। ২৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।

সেমিনারে এএসই গ্রুপের যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ নাটালিয়া গনচারোভা ‘প্রকৌশল বিভাগে টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মস্কোর জেএসসি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের প্রধান বিশেষজ্ঞ কনস্ট্যান্টিন ফোকিন বলেন, রোসাটম বিদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১৩৮ বিলিয়ন ডলার অর্ডার পেয়েছে। আরএফ বিজ্ঞান ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত কোটার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের নাগরিকদের রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু এবং অন্যান্য পারমাণবিক নির্দিষ্ট শাখায় অধ্যায়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

রোসাটম কোটার কমপক্ষে ৬৯ জন ছাত্র স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে এবং তাদের মধ্যে ২৬ জন স্নাতক বিএইসিতে নিযুক্ত হয়েছে। তিনি বুয়েটের মতো ঢাকা এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু বিজ্ঞান কোর্স চালু করার জন্য রোসাটমের সাথে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন।

এএসই-এর যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ নাটালিয়া গনচারোভা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে পরিচালনার জন্য উচ্চমানের ২৫শ থেকে ৩ হাজার বিশেষজ্ঞের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরোক্ষভাবে আরও দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সারা দেশে দেড় মিলিয়নেরও বেশি পরিবারকে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করবে।

Explore More Districts