বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন বলেন, রাসূল সা. এর শুভাগমনের পূর্বে মক্কা নগরী ছিলো অসমতা আর অশান্তিতে পূর্ণ নগরী। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ছিল চরম পর্যায়ে। যুদ্ধ-বিগ্রহ ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। এই অরাজকতাপূর্ণ নগরী রাসূল সা. এর মুবারক স্পর্শে আলোকিত হয়ে ওঠে। সমাজস্থ বৈষম্যকে নবীয়ে করীম সা. দূরীভূত করে সাম্য ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়েছেন। অবহেলিত সকল সম্প্রদায়কে প্রাপ্য অধিকার দিয়েছেন। তিনি গোত্রপ্রথাকে বিলুপ্ত করে যুদ্ধ-বিগ্রহের হট্টগোল থেকে মানুষকে মুক্ত করেছেন। বিষম্যের বিলুপ্তির মাধ্যমে তিনি সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট মহানগরীর আওতাধীন ২০নং ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত “সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী সা. এর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভা শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর অভিজাত একটি হোটেলের হলরুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম নোমান।
২০নং ওয়ার্ড সভাপতি আলী আশরাফ রাসেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন মানিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল মুনতাসির খান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা সভাপতি এস এম আলী আহমদ, ১৫নং ওয়ার্ড সভাপতি বায়জীদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কানাইঘাট উপজেলা আল ইসলাহ’র সহ সাধারণ সম্পাদক ইয়াহইয়া আহমদ চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ২০নং ওয়ার্ড শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাহি, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জামি, অর্থ সম্পাদক মাহদি হাসান সুমন, অফিস সম্পাদক জুবায়ের হক, সহ-অফিস সম্পাদক তামিম আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাকিব আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোহাম্মদ সালমান হোসেন, সদস্য আরিফ আহমদ, সাকিব আহমদ, সালমান রহমান সাব্বির প্রমুখ।