ওয়াশিংটন, ২৩ অক্টোবর – রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর সবচেয়ে বড় দুটো রুশ তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানে শান্তি চুক্তি করতে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় তিনি এ পদক্ষেপ নিলেন।
একদিন আগেই হাঙ্গেরিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের পরিকল্পিত বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউজ। এরপরই ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলেন। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল দুই রুশ সংস্থার ওপর। একটির নাম ‘রসনেফ্ট’ এবং অপরটি ‘লুকঅয়েল’।
দুই কোম্পারি উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেল বিক্রির অর্থ ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টও বলেছেন, ইউক্রেইনের সঙ্গে অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হচ্ছেন না পুতিন। সেকারণে দু’টি রুশ তেল কোম্পানির উপর এই নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রয়োজন ছিল, যারা ক্রেমলিনকে যুদ্ধের মূলধন জোগায়।’
ওদিকে ট্রাম্পের অভিযোগ, ইউক্রেইনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে আদৌ আগ্রহী নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তার কথায়, যখনই আমি ভ্লাদিমিরের সঙ্গে কথা বলি, আমার সঙ্গে তার ভালভাবেই কথা হয়। অথচ সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। পুতিনের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকের পদক্ষেপ রাশিয়ার জ্বালানি খাতে চাপ বাড়াবে এবং যুদ্ধ ও দুর্বল অর্থনীতির জন্য ক্রেমলিনের রাজস্ব বাড়ানোর সক্ষমতা কমাবে। আমরা আমাদের মিত্রদেরকেও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে একই পদক্ষেপ নেওয়ার তাগাদা দিচ্ছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে এক বৈঠকে বলেন, “অনেক অপেক্ষা করেছি। এবার সময় এসেছে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার।”
রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প তার আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ না করা পর্যন্ত তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন না। তবে রাশিয়া নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় বিচলিত নয়। ক্রেমলিন বলেছে, নিষেধাজ্ঞা তাদের কিছু করতে পারবে না।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ২৩ অক্টোবর ২০২৫