লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ভূ-খন্ড থেকে সস্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন মেঘনা নদীবেষ্টিত দুর্গমচর চর আবদুল্যাহ ও বড়খেরী ইউনিয়নের বানভাসী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে নৌ পুলিশ।
আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (নি:) ফেরদৌস আহম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকার শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষজন নৌ-পুলিশের এমন খাদ্য সহায়তা পেয়ে দারুণভাবে খুশি হয়েছেন। এছাড়াও বড়খেরী নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘনার পাড়ের কয়েকটি জায়গায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য একইভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (নি:) ফেরদৌস আহম্মদ জানান, মেঘনা নদীতে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো দুর্যোগে উপকূলের অসহায় ও দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে নৌ পুলিশ। বন্যা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকে নজরদারি রয়েছে। এজন্য চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য: দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৭৭ উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন বা পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ওই ১১ জেলার ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ পরিবার।