কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা আবু সাইদ বলেন, ‘চারঘাটের পিরোজপুর, গোপালপুর, মেরামতপুর ও চন্দনশহর এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। সাধারণত যখন পানি বাড়ে তখন নদীতে ভাঙন হয়। কিন্তু এখন শুষ্ক মৌসুমেই বিঘার পর বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি নদীগর্ভে যাওয়ার আতঙ্কে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না।’
পুলিশের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নদী ভাঙন রোধে স্থানীয় প্রশাসন, ইউএনও, এসি ল্যান্ড প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এ জন্য তাঁদের দোষ দিতে পারছি না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, চারঘাট বলে একটা থানা আছে, ওসি আছে, পুলিশ আছে, কিন্তু এদের কোনো কাজ নেই। এরা বিগত সময়ে যেগুলো করছে, এখনো সেগুলোই করছে। ফেনসিডিলের টাকা, মদের টাকা, চোরাচালানের টাকার সঙ্গে এই পুলিশ বাহিনী জড়িত। বালু উত্তোলন হচ্ছে অবৈধভাবে। পুলিশ নীরব। রাতে তারা বালুর ট্রাকের টাকা গুনে নিচ্ছে। পুলিশ হিসেবে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।’ তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার প্রশাসনের কাছে আজকেই শেষ কথা। সেদিন ডিআইজি সাহেবকে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘একটা ফালতু ওসি। যে ওসির কোনো কাজ নাই। সে ওসি চারঘাটে থাকতে পারবে না। একটা ভালো ওসি, সুন্দর ওসি, যে ওসি পুলিশের সম্মান রাখতে পারবে, আমাদের সম্মান রাখতে পাবে, তাকে দেন। তারপরও যদি কাজ না হয়, জনগণকে নিয়ে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’