শরীফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ইতোমধ্যেই তুমুল আলোচনায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডিভোর্সের বিষয়টি স্পষ্ট করার পাশাপাশি রাজের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’র মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এছাড়াও ফেসবুকের এই লম্বা বার্তায় রাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসা পরীমণী। রাজের সমালোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমার সাথে যে অন্যায়গুলো রাজ করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৪১ মিনিটে পূর্বের একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পরীমণি বলেন, নিশ্চই এই স্ট্যাটাস এর কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিলো। তারপর এসব ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!
ভক্তদের প্রতি ক্ষমা চেয়ে তিনি এই পোস্টে আরও লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।
ডিভোর্সের বিষয়েও এই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
‘বিঃদ্রঃ’ দিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, আমার ছেলের যাবতীয় খরচ মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি একা বহন করবো। এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ ও পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। দেড় বছরের সংসার জীবনে একটি সন্তানও আছে এই দম্পতির। স্বামীর প্রতি এর আগেও বহুবার সন্দেহের তীর ছুড়েছেন পরীমণি। তার এই সন্দেহে কখনও নাম এসেছে সুনেরাহ বিনতে কামাল, আবার কখনও বিদ্যা সিনহা মিমের। ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন পরীমণি। তার অভিনীত অন্য ছবিগুলো হলো ‘ভালোবাসব তোমায়’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘রক্ত’ ও ‘স্বপ্নজাল’।
/এমএইচ