রাজশাহীতে শিক্ষকদের অপমান, সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহা. মোকবুল হোসেনের
অপসারণ দাবির আন্দোলন আবারো শুরু হয়েছে। শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আন্দোলন। এর আগে এ বছরের জানুয়ারি মাসে আন্দোলন হলেও করোনার প্রকোপের কারণে তা স্থগিত করা হয়। তবে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ায় আবারো শুরু হয়েছে রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচী।
এদিনের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার স ালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলার কথা‘র কলম সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেনÑ শহীদ পরিবারের সদস্য ও জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ রিপন, বিটিসি নিউজের সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান রেজা, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি সালাউদ্দীন মিন্টু, মৎস্যজীবি লীগ নেতা মাসুদ রানা প্রমুখ। এতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের উচ্চপদে এক আবর্জনাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো যা খুশি তা করেই চলেছেন। শিক্ষকদের অপমান, সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির জায়গায় পরিণত করেছেন সরকারী এ
প্রতিষ্ঠানটিকে। এসবের জন্য সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, জাতির বিবেকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার এবং হুমকি-ধামকি দিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোকবুল হোসেন। যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে তাকে অপসারণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষাবান্ধব চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় চলমান থাকবে রাজপথের আন্দোলন।
এছাড়া রাজধানীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুনিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিও জানানো হয় এদিনের মানববন্ধনে।