দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নয়টি ও তানোর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার আদালতের নির্দেশে তানোরের একটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
কদমশহর কেন্দ্রের বাইরে যে নারীরা রোদে দাঁড়িয়ে ভোটের উৎসবে মেতেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কথা হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী রূপালী রানীর (২৫) সঙ্গে। বললেন, ‘যত কই লাগারে ইংঞাক ভোট ইং এম আকাদা। ঝামেলা বাং হুইয়াকানা। নিত সারাদিন ভোট এমকইংঞালা।’ অর্থাৎ সবার আগে ভোট দিয়েছি। কোনো ঝামেলা হয়নি। এখন সারাদিন দেখব।
৫০ বছর বয়সী শিউলী রানী আঙুলের কালি দেখিয়ে বললেন, মানুষ লাইনে দাঁড়ানোর আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন। আর চিন্তা নেই। হেসে হেসে একই কথা বললেন সেলিনা বেগম (৪৫)। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দুরুল হুদা বলেন, তার কেন্দ্রের ৩ হাজার ১৮৯ ভোট। প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৩৫টি।
এ ইউনিয়নের রাজাবাড়িহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে লম্বা লাইনে ভোটারেরা। যত মানুষ কেন্দ্রের ভেতরে, তত মানুষ বাইরে। এই অবস্থা দেখে নৌকার প্রার্থী বেলাল উদ্দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের কাছে গিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা জানালেন, ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, মানুষ বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে ফিরে যাবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁকে বোঝালেন, একজন ভোটারকে তিনটি প্রতীকে সিল দিতে হচ্ছে। এ জন্য দেরি হচ্ছে। তারপরও এক ঘণ্টায় তার কেন্দ্রের ২ হাজার ২৮৬ ভোটারের মধ্যে ৩৫১ জন ভোট দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।