রাজবাড়ীর মিজানপুরে ৩ গ্রাম পদ্মার ভাঙ্গন হুমকি, নদী গর্ভে বিলীন গাছ পালা |

রাজবাড়ীর মিজানপুরে ৩ গ্রাম পদ্মার ভাঙ্গন হুমকি, নদী গর্ভে বিলীন গাছ পালা |

রাজবাড়ীর মিজানপুরে ৩ গ্রাম পদ্মার ভাঙ্গন হুমকি, নদী গর্ভে বিলীন গাছ পালা |

 

 

ইমরান হোসেন মনিম,   রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :

রাজবাড়ী পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।চলমান ভাঙ্গনে মিজানপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে।নদীতে বিলীন হচ্ছে বিভিন্ন গাছপালা। ভাঙ্গন ঠেকাতে কিছু কিছু স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হলেও বেশির ভাগ ভাঙ্গন স্থানে বস্তাা না ফেলার অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

গত দুই সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারনে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে।এতে রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের চার কিলেমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এখন জনবসতির কাছে এসে ঠেকেছে। এ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, মহাদেবপুর ও জৌকুরা এলাকার ৫ হাজার পরিবার এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে বসবাস করছে। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা।গত সপ্তাহে কিছু কিছু ভাঙ্গন স্থানে বালু ভর্তি জিও টিউব ফলা হলেও বেশির ভাগ স্থানে বস্তা না ফেলার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জন সাধারন। কতৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করা হলেও তারা বালুর বস্তা ফেলেনি তারা।একাধিকবার ভাঙ্গনে এখন দিশেহারা নদী তীরবর্তী এসব সাধারন মানুষ।এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় কিভাবে বসবাস করবেন সে দুঃশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিন রাত।

 

নদী তীরবর্তী মিজানপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আ.রহিম মোল্লা বলেন,গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমাদের এলাকায় ভাঙ্গ চলমান রয়েছ্। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও পানি কমলে দুই সময়েই ভাঙ্গ দেখা দেয়।বার বার ভাঙ্গনের কারনে এখন দিশেহারা হয়ে পরেছি আমরা।
একই এলাকার শাহানাজ বেগম বলেন, যেভাবে ভাঙ্গন চলছে,যদি দ্রুত বস্তা বা ব্লক না ফেলা হয় তাহলৈ আমাদেও এ এলঅকায় আর বসবাস করা হবে না।

 

স্থানীয় ভাঙ্গন কবলিত সাবিনা ইয়াসমীন,আকমল শেখ, খোদেজা খাতুন, রোহান মোল্লা, রাব্বি শেখ ও মমতাজ বেগম তারা সবাই বলেন,পুরো ভাঙ্গন এলাকায় বালুর বস্তা না ফেলে কিছু স্থানে ফেলে চলে যাওয়ায়,আমরা ৪/৫ হাজার পরিবার ভাঙ্গন হুুকিতে পরেছি। একাধিক বার ভাঙ্গনে এখন আর কোথাও জমি কিনে বাড়ি করার সামর্থ নেই আমাদের।শীগ্রই ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান কর্তৃপক্ষকে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত যেসকল স্থানে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সেসব স্থানে বালুভর্তি জিও টিউবের বস্তা ফেলা হয়েছে। অন্যান্য ভাঙ্গন স্থানে বরাদ্দ না পাওয়ার কারনে বালুর বস্তা ফেলা সম্ভব হয়নি।বরাদ্দের ভিত্তিতে বাকি স্থানে ফেলা হবে বালু ভর্তি বস্তা।

Explore More Districts