রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ফেসবুক ফ্রেন্ড গ্রেপ্তার |

রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ফেসবুক ফ্রেন্ড গ্রেপ্তার |

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :

রাজবাড়ীতে সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজ ঘরের খাটের উপর মরদেহ ফেলে রাখার ক্লুলেস মামলায় নিহত সালমার ফেসবুক ফ্রেন্ড মোঃ হেমায়েত উল্লাহ (৩০) কে পুুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। হেমায়েত নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার মোঃ আহসান উল্লাহের ছেলে।

জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ রাতের কোন এক সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলী জয়পুর গ্রামে সৌদী প্রবাসী মোঃ আজাদ মল্লিকের স্ত্রী সালমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় গত বুধবার নিহত সালমার বাবা সালাম শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় থেকেই ক্লুলেস এই হত্যা উদঘাটন এবং ঘাতককে গ্রেপ্তাওে তৎপর হয় জেলা পুলিশ।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার মোছা ঃ শামিমা পারভীনের বলিষ্ট নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত আসামী সনাক্ত করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মোঃ হেমায়েত উল্লাহ। ফলে গত বুধবার রাতে রাজবাড়ী থানা এবং জেলা ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী হেমায়েত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হত্যাকাণ্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। আসামীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত সালমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোনটি সালমা হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে কাছাকাছি নূরপুর গ্রামের কৃষ্ণ হালদারের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা ঃ শামিমা পারভীন জানান, মামলাটি ক্লুলেস। যে কারণে দ্রুতার সাথে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আসামিকে সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে, সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কয়েক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সালমার সাথে পরিচয় হয় নোয়াখালীর হেমায়েত উল্লাহর। ফেসবুক ফ্রেন্ড হিসেবে বিগত ঈদ উল ফিতরেও হেমায়েত সালমার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। নিহত সালমার সাত বছর বয়সি ছেলে সাদিক বলে, ঘটনার রাতে আমাদের ঘরে তিন জন এসেছিল। দুই জনের মুখে মুখোশ পড়া ছিলো। তারা আমার আম্মুকে মেরেছে। হেমায়েতের পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে, আমরা যখন ঢাকায় থাকতাম তখন থেকে হেমায়েত আঙ্কেল আমাদের পরিচিত।

Explore More Districts