রাজধানীর শাজাহানপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতি হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে এই মামলা করেন।
ফারহানা ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে টিপুর মরদেহ মতিঝিল এজিবি কলোনি ঈদগাহ মাঠে নেয়া হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ ফেনীতে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে নিহত রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বাসায় নেয়া হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হবে না বলে জানান প্রীতির বাবা।
মতিঝিল বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ জানান, নিহত টিপুর শরীরে ১০টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। টিপুকে হত্যার পর ফাঁকা গুলি করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহত হন রিকশা আরোহী প্রীতি।
শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) ও রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি নিহত হন। এর মধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে মুন্না (২৬) নামে টিপুর গাড়িচালক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে নিহত প্রীতি একটি রিকশায় ছিলেন। পালানোর সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ফাঁকা গুলিতে সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
ইউএইচ/