আম্রপালি, রুপালী, বারী-৪ ও রাংগুই। পাহাড়ী উর্বর ভুমিতে ফলন হওয়া এ চার জাতের সুস্বাদু আম সকলের কাছে প্রিয়, খেতেও স্বাদ। চড়া দাম হোক কিংবা কম দাম, সবধরণের ক্রেতার ভীড়ে লেগে যায় এসব আম কিনতে। রাঙামাটিতে এবছর এই চার জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগানের গাছে গাছে, হাট-বাজারে সর্বত্রই আম। আম বোঝাই সারি সারি ট্রাক যাচ্ছে সারাদেশে। এ বছর জেলায় ২ শত কোটি টাকার ওপর আম বিক্রির আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলের মাটি চাষের জন্য খুবই উপযোগী এবং উর্বর। বর্তমানে দেশি-বিদেশি অনেক ধরনের ফলেরই চাষ হচ্ছে এই পাহাড়ী জেলা রাঙামাটিতে। এসব ফলের মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সুস্বাদু আম আম্রপালি, রুপালী, বারী-৪ ও রাংগুই। ফরমালিনমুক্ত পাহাড়ী আমের সারাদেশে চাহিদা ব্যাপক। শুধু দেশে নয়, এ অঞ্চলের আম বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মিশ্র ফল বাগানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার প্রকল্পও আম উৎপাদনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে।
এই বিষয়ে আরও
স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটিতে এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন স্থান থেকে আম সংগ্রহ করে সরবরাহ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আয়ও করছে ভালো।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার রাঙামাটিতে প্রায় দুইশত কোটি টাকার ওপর আম উৎপাদন হয়। সঠিক পরিচর্যা ও আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। চলতি বছর জেলায় তিন হাজার ৩৯২ হেক্টর বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩১২ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ৪০ টাকা হিসেবে এসব আমের মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৩৮ কোটি টাকা।