রংপুরের আলু বিদেশে রপ্তানী হবে
Newsroom Editor
ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩, ১২:৫২ AM
আমিরুল কবির সুজন
উত্তরাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়। রবিশষ্যখ্যত এ জেলায় উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এবার কৃষকের উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানী হবে। এ বিষয়ে আলু চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানী কারকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন কৃষি বিভাগ। এতে নতুন সম্বাবনা দেখা দিয়েছে উত্তরের কৃষিতে। সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন সঠিক প্রক্রিয়ায় আলু রপ্তানী করতে পারলে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখবে উত্তরের কৃষি।
শুক্রবার (১০ ফেব্রয়ারি) বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, রংপুরের উৎপাদিত আলু ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, নেপালসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানী হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের এ উদ্যোগ কৃষক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। গতবছর মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন ও পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলু রপ্তানির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল।
কৃষকরা জানায়, আলুচাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমি থেকে সরাসরি আলু তুলে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ পেয়ে খুশি কৃষকেরা। চাষি মামুন মিয়া বলেন, গত বছর থেকে আলু উৎপাদন করছি। এবারও বিদেশে পাঠানোর উপযোগী উন্নতমানের আলু কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাই উন্নত জাতের আলু চাষাবাদ করে অন্যন্য কৃষকের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছি। কৃষকরা গত বছর আলুর দাম কম পেলেও চলতি বছরে জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১৩-১৪ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এবার আমানুরুপ দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। মতবিনিময় সভায় পায়রাবন্দ এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, এখানকার আলু সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবারও অনেক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়ার ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে।
মতবিনিময় সভা শেষে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাতের আলুর চাহিদার কথা মাথায় রেখে অনেক জাতের আলু আবাদে সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আলুচাষিদের উন্নত আলু চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, উন্নতমানের আলুবীজও সরবরাহ করা হয়। এখানকার আলু সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যে সাদা আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদার কথা বিবেচনা করে ডায়মন্ড, কুমারিকা, গ্রানুলা, কুম্বিকা এলুয়েট, এস্টারিকস, সানসাইনসহ বিভিন্ন জাতের সাদা আলু উৎপাদনের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের আলুবীজ সরবরাহ করা হয়। এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। বিদেশে চাহিদা থাকার কারণে চাষীরা ভালো দাম পাবেন। এজন্য কোয়ালিটি আলু উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উদ্বদ্ধ করা হয়েছে।
আলু রপ্তানী বিষয়ে চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি ও পানি সম্পদ পরীবীক্ষণ ও মুল্যয়ন বিভাগের মহাপরিচালক সাইফুল ইসলাম, পানি সম্পদ পরীবীক্ষণ ও মুল্যয়ন বিভাগের যুগ্ম প্রধান ফেরদৌসী আখতার প্রমুখ