আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টায়। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায় সাপ্তাহিক বাজারে লোকে লোকারণ্য। ভীড় ঠেলে জেটিঘাট পল্টনে গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তাই লেক ধরে শত শত ইঞ্জিন চালিত বোট করে বাংলা কলা নিয়ে ঘাঁটে ভীড়ছেন এক একটি বোট। মুহূর্তে সেই বোটের সামনে জড়ো হচ্ছেন কলা বেপারিরা। এই যেন কলার হাট।
কথা বলে জানা যায়, যেখানে সাপ্তাহিক বাজারে প্রায় ১০ লাখ টাকার বাংলা কলা বিকিকিনি হয়। বিলাইছড়ি উপজেলা সদর, ধুপশীল, লতাপাহাড়, ফারুয়া, রাইক্ষং, কেংড়াছড়ি, কাপ্তাইয়ের হরিনছড়া, বারুদগোলা সহ বিভিন্ন জায়গা হতে বিক্রেতারা সাপ্তাহিক শনিবার বাজারে এই কলা নিয়ে আসেন বিক্রির উদ্যোশে। রমজান মাস থাকায় এখন কলার চাহিদা বেশি বলে ক্রেতা বিক্রেতারা জানান।
সেখানে কথা হয় হরিনছড়া এলাকার কৃষক আনন্দ জয় তনচংগ্যা, শ্যামল তনচংগ্যা এবং কেংড়াছড়ির সাধনময় চাকমার সাথে। তাঁরা জানান, আমাদের নিজস্ব বাগানের উৎপাদিত এই কলা আমরা জেটিঘাট বাজারে প্রতি শনিবার নিয়ে আসি। তবে গত শনিবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে কলা বিক্রি করতে না পারলেও আজ (শনিবার) আনার সাথে সাথে সব কলা বিক্রি হয়ে গেছে। এই কলা বিক্রি করে আমরা মাসে অনেক টাকা ইনকাম করি, এতে আমাদের সংসারও চলছে বেশ।
এই বিষয়ে আরও
কাপ্তাই জেটিঘাটে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সাপ্তাহিক বাজারে কলা কিনতে আসেন রাঙ্গুনিয়া শান্তি নিকেতনের ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দে। তিনি জানান, রমজান মাস কলার দাম একটু বেশি। তবে আমরাও এইখান হতে কলা নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।
বিগত ২০ বছর ধরে জেটিঘাট হতে কলা নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্পটে বিক্রি করেন বাঁশখালির কলা ব্যবসায়ী ইব্রাহীম। তিনি জানান, সমতলে পাহাড়ি এই কলার বেশ চাহিদা আছে। এই বাংলা কলা বেশ সুস্বাদু। আমি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টি ট্রাকে করে শহরে এই কলা নিয়ে যায়।
কথা হয় ঘাঁট শ্রমিক আবু ইউসুফ, নুরনবী সহ আরোও কয়েকজনের সাথে। তাঁরা সেই সময় বোট হতে কলা তুলে ট্রাকে তুলে দিচ্ছেন। তাঁরা সকলে জানান, সাপ্তাহিক শনিবার বাজারে প্রচুর পরিমান কলা এই ঘাট দিয়ে আসে। আমরা প্রতিদিন গড়ে ৬ শত টাকার মতো আয় করি এই কলা আনলোড করে।