যুবকের দুই হাতের কবজি কাটা মামলায় দুই আসামী কারাগারে

যুবকের দুই হাতের কবজি কাটা মামলায় দুই আসামী কারাগারে

যুবকের দুই হাতের কবজি কাটা মামলায় দুই আসামী কারাগারে

নরসিংদীর পলাশে যুবকের দুই হাতের কবজি কাটার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (পলাশ) আদালতের বিচারক। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জালাল ওরফে শাহজালাল মিয়া (৫৫) ও শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫)। তাদের দুজনকে মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জালালের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনের ৫দিনে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল বুধবার আদালতে রিমান্ড শুনানি হবে।

ওসি আবুল বাসার জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজনসহ অন্যান্য আসামীরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ জুলাই শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিনপাড়ার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে হাদিউল ইসলাম (১৯) কে পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে কালুর বাড়ি সংলগ্ন শহিদুল এর কলাবাগানে নিয়ে হাত পা ও চোখ বেধে ফেলে মারপিট করে। এসময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাত কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে অভিযুক্তরা হাত এবং মুখের বাধন খুলে চলে গেলে হাদিউল প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ডাক চিৎকার করে স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় আহত হাদিউলের পিতা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে গত ২ জুলাই ৪ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় মামলা করেন। পরে আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

Explore More Districts