স্টাফ রিপোর্টার
ইউনিসেফ’র সহযোগিতায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের লেট আস লার্ন প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের লেট আস লার্ন প্রকল্পের আওতায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জুন ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। ঝরেপড়া শিশুরা এই প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। শিশুদের জীবনমানের উন্নয়নে এবং শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষার অগ্রগামীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের সাথে মতবিনিময় করতে হবে। শিশুরা যেন গুণগতমানের শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সকলে। তিনি বলেন, করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সকলকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। যারা এখনও টিকা নেননি, তাদেরকে টিকার আওতায় আনা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসীম চন্দ্র বনিক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদি-উর-রহিম জাদিদ, সহকারী কমিশনার শিল্পী রানী মোদক, ইউনিসেফের শিক্ষা অফিসার তানিয়া লাইজু সুমি, পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মো. জসীম উদ্দিন, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক এ কে আজাদ প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন জেসিএফ’র প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ ফিরোজ রহমান।
