যশোর-৫ আসনের পর যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনেও বিএনপি তাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। ফলে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবুল হোসেন আজাদের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়া হয়। মনোনয়নপত্রে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর রয়েছে।
এর আগে একই দিনে দুপুরে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনেও প্রার্থী পরিবর্তন করে বিএনপি। সেখানে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবালের পরিবর্তে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, যশোর-৬ আসনে শুরুতে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি দেড় মাস ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালান। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে তার পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণপন্থিদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দিলেও আজাদপন্থিদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আবুল হোসেন আজাদ দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে কেশবপুর বিএনপির দুঃসময়ে একজন পরীক্ষিত সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। রাজনৈতিক হামলা-মামলার কঠিন সময়েও তিনি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করেছেন।
স্থানীয় নেতাদের মতে, কেশবপুরে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। ত্যাগ, শ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দলকে সুসংগঠিত করেছেন। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও আবুল হোসেন আজাদ প্রশংসিত। নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও দলীয় কার্যালয় নির্মাণের পাশাপাশি নিজ জমিতে বিনামূল্যে দোকানঘর বরাদ্দ দিয়ে অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে আবুল হোসেন আজাদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, দল আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। দলের সকল নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”


