কবুতর বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে খুলনার এক যুবককে ফাঁদে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শেখ মুকিত হাসান
আসামিরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা কাজীর বাজার এলাকার আলমগীর ছিদ্দিকীর ছেলে লাবীব,একই উপজেলার স্বরণ , খুলনা সোনাডাঙ্গার ইসলামিয়া কলেজ রোডের বাবুর ছেলে শান্ত ,যশোরের শংকরপুর টার্মিনাল এলাকার আলতুর ছেলে অনিক অনি ,একই এলাকার হাকিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম , রাজারহাট কচুয়া এলাকার রাজুর ছেলে সাকিব , শংকরপুর টার্মিনালের উত্তর পাশের খোকন মেসিয়ারের ছেলে সজিব, একই এলাকার মমরোজের ছেলে রহিম , শংকরপুর টার্মিনালের পাশে ছোটনের মোড় এলাকার জয়নালের ছেলে কালো মিরাজ এবং পান্নুর ছেলে হৃদয় ।
মামলায় খুলনার খালিশপুর থানার বড় বয়রা বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা শেখ মুকিত হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে কবুতরের ব্যবসা করেন। এ সূত্রে যশোরের লাবীব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
লাবীব জানায়, তার বন্ধু স্বরণ কবুতর বিক্রি করবে। ওই প্রলোভনে পড়ে মুকিত গত ৫ নভেম্বর বন্ধু সাইমুম রশিদ অনিককে নিয়ে যশোরে আসেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা রাজারহাট মোড়ে পৌঁছালে লাবীব তাদের কবুতর দেখানোর কথা বলে শংকরপুর মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছেই লাবীবসহ আরও নয়জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোটা দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এসময় অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে মুকিতের কাছে থাকা নগদ আট হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন ও একটি ইয়ামাহা আর–ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।
এমনকি মুকিতের বাবার কাছ থেকেও বিকাশে আরও পাঁচ হাজার টাকা নেয় তারা। পরে জোর করে একটি নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়। ৬ নভেম্বর দুপুরে আসামিরা তাদের ছেড়ে দেয়। পরে তিনি থানায় মামলা করেন।


