যশোরে মেহেদীর রঙ না শুকাতেই জীবনের আলো নিভে গেল প্রিয়ন্তীর

যশোরে মেহেদীর রঙ না শুকাতেই জীবনের আলো নিভে গেল প্রিয়ন্তীর

বিবাহের ১বছর যেতে না যেতেই হাতের মেহেদীর রঙ না শুকাতেই জীবনের আলো নিভে গেল প্রিয়ন্তীর। প্রিয়ন্তী খুলনা জেলার রূপসার নৈহাটি মাধ‍্যমিক বালিকা বিদ‍্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বিয়ের পর থেকেই সহ্য করতে হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গরীব পিতার মেয়ে হয়েও বড়লোক শশুর বাড়ির চাহিদা পুরুন করতে না পারায় অকালে জীবন গেল স্কুল ছাত্রীর।নিহতের পিতা নিলীপদে বলেন,

স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধুকে মারপিটের পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। যা গত শনিবার রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত গৃহবধু প্রিয়ন্তীদে(১৮) খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের দিলীপদের মেয়ে ও যশোর সদর উপজেলার চুড়িপট্রি এলাকার নয়নদের স্ত্রী।গত ২০২৩ সালের ১৪জুলাই প্রিয়ন্তীর সাথে বিয়ে হয় যশোর সদরে উপজেলার চুড়িপট্রি এলাকার নিতাইদের ছেলে নয়নের সাথে।

বিয়ের পর থেকেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত স্বামী নয়ন ,তার বোন, ও মাসহ পরিবারের লোকজন। কয়েকবার তাকে মারধর ও করেছে যা বাড়িতে এসে তার মাকে জানাত প্রিয়ন্তী।

এক পর্যায়ে গত ১৩জুলাই-রাতে প্রিয়ন্তীকে মারপিট ও নির্যাতনের পর তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এঘটনা পর গৃহবধুর স্বামীর পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয় বলে নিহতের পরিবার জানায়।

একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং তারা এ ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শাস্তির দাবী জানিয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। প্রিয়ন্তীর মরদহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং খুলনা রূপসাযর তালিমপুর শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।

Explore More Districts