টেন্ডার নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় এবার বিএনপি নেতা একে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকেও বহিষ্কার করেছে তার দল। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর যশোর জেনারেল হাসপাতালের সুপারের কক্ষে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য একে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জেলা বিএনপির সদস্য পদসহ সকল পদে কার্যকর হবে।
এর আগেরদিন (৮ নভেম্বর) বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং তারা এর তীব্র নিন্দা জানান।
কতিপয় ঠিকাদার ও হাসপাতাল সুপারের ভেতরকার এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপি যেমন রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই, তেমনি টেন্ডার সংক্রান্ত বা দখলদারিত্বের মতো কোনও বিষয়ে বিএনপির কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা দলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারি কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে সে ব্যক্তি দলের যেকোনও স্তরের নেতাকর্মী হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে- যা অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে, অপর এক বিবৃতিতে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুনুর রশিদ বলেছেন, গত ৭ নভেম্বর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটেছিল যা অনভিপ্রেত। যা ডাক্তার সমাজের মধ্যস্থতায় সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। সকলকে সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।