নিজস্ব প্রতিবেদক॥ যশোর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ ও একটি কেন্দ্রে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে কাশিমপুর ও রামনগর ইউনিয়নে পৃথক এ দুই ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেন্দ্র দুটি থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অনুপম দেবনাথ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে বহিরাগত কয়েকজন ভোট কাটতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় চার জন আহত হন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তুহিন, আশরাফুল, রাসেল ও কালাম নামে চার জনকে আটক করেছে। তারা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আইয়ুব হোসেনের লোক বলে জানা গেছে।
লাঠিপেটার সময় বাইরে থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে ফারুক হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
আহত কনস্টেবলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রামনগর ইউনিয়নের নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে বিদ্যালয়ের পূর্ব ভবন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেন্দ্রের পশ্চিম দিকে দুটি বোমা ছুড়ে মারা হয়। বোমার বিকট শব্দে কিছু সময়ের জন্য ভোটাররা আতঙ্কিত ছিলেন। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।”
কেন্দ্রটিতে কর্তব্যরত এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রের আশেপাশে থাকা সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় নায়েমুজ্জামান নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।”
নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ও কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দিয়েছেন।”