যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেলার মানুষের কল্যাণে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গবেষণাগারে উদ্ভাবিত রোগমুক্ত জারবেরা ফুলের অনুচারা গত ২৬ আগস্ট যশোরের গদখালির পানিসারা এলাকার ফুলচাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
যবিপ্রবি দ্রুত যশোর শহরে ফিজিও কেয়ার সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে নার্সিং কেয়ার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকুলার রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেবাও চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ব্রাকিশ ওয়াটার সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে কোস্টাল অ্যান্ড ব্রাকিশ ওয়াটার সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় ঐতিহ্য রক্ষায়ও উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ‘যশোরের যশ খেজুরের রস’ ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেজুরের জাত উন্নয়ন, বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছ চাষ, রস ও গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণকে গবেষণার আওতায় আনা হবে।
মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বলেন, যবিপ্রবির আয়তন মাত্র ৩৫ একর। এ অল্প জায়গায় ক্রমবর্ধমান শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্রুত একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য নতুন ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নতুন প্রজেক্ট প্রপোজাল ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে এবং সংশোধনের কাজ চলমান।
উপাচার্য আরও বলেন,‘ভূমি অধিগ্রহণ শুধু শিক্ষার্থী-শিক্ষক নয়, বৃহত্তর যশোরবাসীর প্রাণের দাবি। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তিনি অভিযোগ করেন,কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।তবে যবিপ্রবির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপাচার্য। তিনি সাংবাদিকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসেন আল মামুন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের গঠনমূলক প্রশ্ন ও পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।