যশোর শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে আফজাল হোসেন (২৮) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা সলেমান শেখ ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের কথা এজাহারে উল্লেখ করেছে।
এদিকে আফজাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার সন্ত্রাসী ইব্রাহিম (৪২) ওরফে টাক ইব্রাহিমকে আটক করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম ওই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া অন্য আসামিরা হলো, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার জিন্নাত আলীর ছেলে সুজন ওরফে ট্যারা সুজন (৩০) এবং বকচর এলাকার নয়ন চৌধুরীর বাড়ির পাশে মৃত মোস্তর ছেলে জাহিদ হোসেন (২৫)।
এজাহারে সলেমান বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন, ৭মাস আগে নাজির শংকরপুর মাঠপাড়ায় ট্যারা সুজন ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছিল। সে সময় সেখানে গিয়ে আফজাল তাকে নিশেধ করেন। এই নিয়ে ট্যারা সুজনের সাথে তার কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। ট্যারা সুজন সে সময় আফজালকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আফজাল ও প্রতিবেশি সুমন নামে এক যুবক দুধ নিয়ে চাতালের মোড় থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। সিটি মডেল একাডেমির সামনে পৌছালে আসামিরা চাইনিজ কুড়াল, ধারালো দা, চাকু নিয়ে আফজালের ওপর আক্রমন করে। তার মাথার পেছনে ও ঘাড়ে কোপ মারে। এবং এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। সে সময় আফজালের সাথে থাকা সুমন দৌড়ে চাতালের মোড়ে গিয়ে মানুষজনকে জানায়। তিনিসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। তখন আফজালকে দ্রুত যশোরে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ দিকে গত মঙ্গলবার নীলগঞ্জ এলাকা থেকে এই মামলার আসামি ইব্রাহিমকে আটক করা হয়েছে। টাক ইব্রাহিম ট্যারা সুজনের সঙ্গী হিসাবে পরিচিত। ট্যারা সুজনের সাথে সেও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকদ্রব্য বিক্রি করতো। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ তিনটি মামলা আছে কোতয়ালি থানায়। ইব্রাহিমও একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।