
সংবাদ সম্মেলনঃ মেয়েকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালানোয় মেয়ের সঠিক মৃত্যুর কারনসহ ন্যায় বিচারের দাবীতে আকুতি জানিয়ে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিধবা মা মোছা. মনতেজা বেগম।
৬ ডিসেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের এই আকুতি জানান মৃত আব্দুল মান্নানের বিধবা স্ত্রী মা। তিনি লিখিত বক্তব্যে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরের নশরতপুর (গরুহাটি) এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা সাংবাদিকদের জানান, একই উপজেলার চম্পাতলী এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমার মেয়ে পারভীনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাসায় রাখে। তার এই বাসাতেই রুমি নামে অপরিচিত মেয়েকে রেখে সে দেহ ব্যবসা করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় মাসুদসহ আরও ৫জন মিলে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতন চালায়। এরপর গলায় রশি দিয়ে আমার মেয়ে মারা গেছে বলে ফোনে জানায় সেই মাসুদ। কিন্তু পুলিশকে না জানিয়েই রশি থেকে মাটিতে নামিয়ে ফেলে সে। আর নিজ স্ত্রী দাবি করে পুলিশের নিকট একটি জিডি করে নিজেই। যার ইউডি মামলা নং ৩৪, তারিখ-০৭/১১/২১।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, আমার মেয়েকে যদি বিয়ে করেই থাকে, তবে কাবিননামা দেখাতে পারেনি মাসুদ। থানাকে প্রভাবিত করায় সেই মেয়ে রুমিকে পুলিশ হেফাজতে নেয় নাই বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও পুলিশের এসআই নিতাই চন্দ্র রায়ের সাথে লাশ নিয়ে পোস্টমোর্টেমের জন্য মর্গে ডাক্তার জামিলের যোগসাজশে আত্মহত্যার রিপোর্ট হাতে নিয়ে এলাকায় প্রচারণা চালায় মাসুদ। এই মাসুদ থানাসহ ফরেনসিক ডাক্তার জামিলকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে বলে দাবী করেন বিধবা মা। তিনি আরও জানান, আমার মেয়েকে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষন ও হত্যাকারীর বিচার দাবিতে দিনাজপুর জেলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চিরিরবন্দরের মন্টু শাহপাড়ার চম্পাতলী এলাকার মৃত মিনু শাহ এর পুত্র ধর্ষক ও হত্যাকারী মো. মাসুদ (৩৫), আরেক পুত্র শামছুদ্দীন ওরফে ছোট বাবু (৩০), মেয়ে মোছা. তাসমিনা (৩৭), স্ত্রী মোছা. সালমা (৫০)সহ নশরতপুর মাছুয়াপাড়ার মৃত আমিনুল ইলামের পুত্র মো. সালাম (৩৭) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং-১১০৭/২১।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের ধর্ষন ও হত্যার বিচার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করেছেন বিধবা মা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য সানজিদা, শারমিন, লাভলী, রোকেয়া, আনারুল ও কাওছার আলী।