২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার ৭:০৮:৪৪ অপরাহ্ন |
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৩৮নং নয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তরা, দেয়াল থেকে দরজা জানালা খসে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে বিরাজ করছে ভয়ের ছাপ।
১৯৯৬ সালে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বিদ্যালয়ের মূল একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হওয়ায় ভবনটির ছাদ, দেয়াল, মেঝেতে ফাটল ধরে নির্মাণের কয়েক বছর পরেই। মাঝে কয়েকবার মেরামত করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। এ ছাড়া তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান স্কুলের একাধিক শিক্ষক।
বর্তমানে ভবনটি এতোটা ঝুঁকিপূর্ণ যে, ৭টি কক্ষ থাকলেও মাত্র ৪টি ব্যবহার করা যাচ্ছে। কক্ষের অভাবে ২ শিফটের বিদ্যালয়টি এখন ১ শিফট চালু রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ৫৫ শতাংশ জমি আছে স্কুলের নামে। প্রতি বছরই ৫ম শ্রেণির বৃত্তির তালিকায় থাকে এই বিদ্যালয়টি। বর্তমানে এখানে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। তারা সুনামের সঙ্গে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি দায়িত্বশীল ম্যানেজিং কমিটিসহ সবই আছে বিদ্যালয়টিতে। শুধুমাত্র অভাব একটি ভবনের। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ যে ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চলছে তা যেকোনো সময় শিক্ষার্থীদের উপর ধসে পড়ে ঘটতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়।
এলাকাবাসী, শিক্ষক, অভিবাবক, শিক্ষার্থীসহ সকলে আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শিখা রানী দাস জানান, বর্ষাকালে ছাদ চুয়ে মেঝেতে পানি পড়ে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। এ ছাড়া ছাদের, দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই স্কুল ভবনটি পুনঃনির্মাণের জন্য একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে তেমন সাড়া মিলেনি।
এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরই আমরা জরাজীর্ণ ভবনের পুনঃনির্মাণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠাই। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদা মোতাবেক অনুমোদন হয়ে আসে না বিধায় সংশ্লিষ্ট স্কুলটি হয়তো বাদ পড়েছে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |