জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র এর বিরুদ্ধে একটি ওয়ার্ডের ড্রেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে দুব্যবহার করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঠিকাদারের নিযুক্ত ম্যানেজার বুধবার গণমাধ্যমে এ অভিযোগ করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এর প্রচেষ্টায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দে পানি সরবরাহ ও ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তারমধ্যে আদিল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভায় ৮ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ পায়।
জগন্নাথপুর পৌরসভার বাড়ী জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা কাউন্সিলর সফিকুল হক বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বাস্তবায়নে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দে পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও ড্রেন নির্মাণের একটি প্রকল্প আনেন। ওই প্রকল্পে বাড়ী জগন্নাথপুর গ্রামের একটি ড্রেনের কাজ দুই মাস আগে শুরু হয়। ১৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ কাজের মধ্যে ৭০০ ফুট কাজ বাস্তবায়নের পর ঈদের ছুটির জন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়। কয়েক দিন আগে ঠিকাদারের লোকজন অসমাপ্ত আরও ৭০০ ফুট কাজ শুরু করে। হঠাৎ করে পৌর মেয়র আক্তার হোসেন বুধবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারের নিয়োজিত ম্যানেজারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার বলেন, পৌরসভার থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেন নির্মাণ কাজের সাইট সিলেকশন করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় তাদের পরামর্শ নিয়ে আমরা কাজ বাস্তবায়ন করছি। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমি দেখছি।
ড্রেন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আদিল এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, পৌর মেয়র আমার সঙ্গে দুব্যবহার করেছেন। যা আমি আশা করিনি। তাঁর আচরণের বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্টদের জানাব।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মো. আক্তার হোসেন বলেন,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সাইট সিলেকশন করা হয়নি এরপরও ঠিকাদারের নিযুক্ত ম্যানেজার কাজ শুরু করায় ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারো সাথে দুব্যবহার করিনি।
